রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের ১০ম নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ক্লাবের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দ্বায়িত্ব) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক এবং টেকফিক্সের প্রতিষ্ঠাতা নাসিম রানা মাসুদ।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক শেখ সৈকতের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা প্রদান করে প্রধান অতিথি উপাচার্য (রুটিন দ্বায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, মানুষের সবচেয়ে শক্তিশালী বন্ধু মানুষের মন। এই মনকে শক্তিশালী করতে পারলে সবকিছু সম্ভব। মানুষের যদি স্বপ্ন থাকে তাহলে মনের জোর বাড়ে। সেই স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে একটা কথা বলব যে, তোমরা নিজেকে জানো। নিজের শক্তি সম্পর্কে জানো। এইটা ধারণ করতে পারলে তোমাদের কাছে সব সম্ভব। তোমাদের সপ্ন দেখতে এবং পরিশ্রম করতে হবে। তোমাদের সময়ের মূল্য দিতে হবে। সময়ের মূল্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে জীবনে টিকে থাকতে পারবে। কিন্তু সময় নষ্ট করলে তোমরা ব্যর্থ হবে। মনে রাখবে তোমাদের মাস্টার মাইন্ড তোমরা নিজেই। ভবিষ্যতে তোমরা কোথায় যাবে এটা ঠিক করার মাস্টার মাইন্ডও তোমরা নিজেই। তোমরা নিজেকে গড়ার একটা সুযোগ পেয়েছো এটাকে কাজে লাগাও। তবে যদি ব্যর্থ হও তাহলে এর দায় তোমাদের।
শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, নবীনদের নিজেকে কোচ মনে করতে হবে। একজন কোচ যেমন সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে খুঁজে বেড়ায় কে কোন দিক দিয়ে দক্ষ। তোমাদেরও এমন কোচ হয়ে উঠতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে তোমরা কোন দিকে দক্ষ, তোমাদের আগ্রহ কিসে। তোমরা অনেক গুণাবলী নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো। তোমাদের দুর্বলতা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা প্রদান করে সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদ বলেন, একসময় আমি তোমাদের সিটে বসে এই অনুষ্ঠানে ছিলাম। আজ চার-পাঁচ বছর পর আমি এখানে। তোমাদের উদ্দেশ্য বলব, তোমরা নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করো। তোমরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ো, তোমরা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নও। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার-পাচ বছরে নিজেদের পরিবর্তন করো। নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে যদি দক্ষ হয়ে বের না হতে পারো তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের অন্তত ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়। এসময় ক্লাবের আয়োজনে পূর্বে অনুষ্ঠিত সায়েন্স অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।