নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ইসলামিক জোন (NUBIZ) আয়োজিত “Journey Towards A Purposeful Life” শীর্ষক ইসলামী সেমিনারটি সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হয়েছে। শনিবার নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সেমিনারে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এবং ইসলামী চিন্তাবিদদের সমাগম ঘটে, যেখানে তাঁরা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়ার গুরুত্ব ও ইসলামী জীবনাদর্শের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেন।অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রফেসর মোখতার আহমেদ, যিনি “The Influence of Women in Shaping Ideal Masculinity” বিষয়ে প্রাঞ্জল বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁর বক্তব্যে বর্তমান প্রজন্মের ব্যক্তিত্ব গঠনে নারীর অবদান এবং সমাজে আদর্শিক মানসিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রখ্যাত বক্তাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ড. শামসুল আরেফীন শক্তি, ড. মেহেদী হাসান, আসিফ মাহতাব উৎস, জাকারিয়া মাসুদ এবং আবু মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান। তাঁরা সমাজ গঠনে তরুণদের দায়িত্ব ও আত্মোন্নয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বক্তাদের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল:“How the Quran speaks for Gen-Z” – আবদুল্লাহ আল মাসুদ“Building Better Futures: The Role of Youth in Education Reform” – ড. মেহেদী হাসান“Career Planning for A Muslim Youth” – ড. শামসুল আরেফীন শক্তি“The Real Alpha Males” – জাকারিয়া মাসুদ“Philosophy of a Purposeful Life” – আসিফ মাহতাব উৎস“The Importance of Media Awareness for Gen-Z in Today’s World” – আবু মুহাম্মদ রাফিউজ্জামানসেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে ইসলামী মূল্যবোধ, সামাজিক দায়িত্ববোধ, এবং একটি লক্ষ্যপূর্ণ জীবন গঠনের প্রেরণা প্রদান করা। বক্তারা ইসলামের আলোকে তরুণদের নৈতিক ও আত্মিক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং তাদেরকে একটি অর্থবহ ও সার্থক জীবনযাপনের প্রতি উৎসাহিত করেন।সেমিনার উপলক্ষে একটি ছোট ইসলামী বইমেলাও আয়োজন করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বইমেলায় কুরআন, হাদিস, ইসলামী জীবনদর্শন, এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও আত্মোন্নয়নমূলক গ্রন্থের সমাহার ছিল, যা শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।সেমিনারের আরেকটি আকর্ষণীয় অংশ ছিল তাৎক্ষণিক কুইজ প্রতিযোগিতা, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামিক জ্ঞান এবং উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে সম্মানিত বক্তাদের হাত থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা তাদের জন্য ছিল বিশেষ এক প্রেরণার উৎস। এই উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মের মাঝে ইসলামী জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ জাগ্রত করার পাশাপাশি, শিক্ষামূলক পরিবেশে সবার অংশগ্রহণকে আরও অর্থবহ করে তোলে। উল্লেখ্য যে bdevents উক্ত সেমিনারের ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিলো।
Ma sha Allah